কারবালার প্রান্তরে হযরত হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর কারামত
হযরত হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর যুক্তি উপস্থাপন করে তাবুতে প্রবেশ করার পর মালিক ইবনে উরওয়াহ নামক এক ব্যক্তি তার ঘোড়া নিয়ে সামনে অগ্রসর হতে চাইলে হযরত হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর যোদ্ধাদের চারপাশে আগুন জ্বলতে দেখে বলল, হে হোসাইন! তোমাকে দোযখের আগুনে স্পর্শ করার পূর্বেই দুনিয়ার আগুন আক্রমণ করে চলেছে (নাউজুবিল্লাহ) । তার ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য শুনে তিনি বললেন: হে আল্লাহর দুশমন! তুমি মিথ্যুক।
মুসলিম ইবনে আওসাজাহ তার মুখে তীর নিক্ষেপ করতে চাইলে হযরত হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু তাকে বাধা দিয়ে বললেন, খবরদার! যুদ্ধের সূচনা যেন আমার পক্ষ থেকে না হয়।মুসলিম ইবনে আওসাযাহকে এ কথা বলে তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করলেন হে আল্লাহ এই অভদ্র (মালিক ইবনে উরওয়াহ) দোজখের আজাবের পূর্বে পার্থিব আজাবের স্বাদ দিন। সাথে সাথেই দেখা গেল, হযরত হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু মোনাজাতে মধ্যে থাকা অবস্থায় মালিকের অশ্বের এক পা গর্তে ঢুকে গেল এবং সে অশ্বের পেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘোড়ার জিনের সাথে বাধা আংটার সাথে তার পা আটকে গেলো। অশ্বটি বিচলিত হয়ে পাগলা ছোটা ছুটে অগ্নিকুন্ডে গিয়ে পড়ল এতে মালিক আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আরেক ব্যক্তি হযরত হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর সামনে এসে বলল, হে হোসাইন! দেখ, লোহিত সাগর তার তরঙ্গ নিয়ে কিযে লীলাখেলায় ব্যস্ত, কিন্তু মনে রেখ, আল্লাহর কসম, তোমার কপালে জলরাশির একফোঁটাও জুটবে না। আর তুমি পিপাসার তাড়নায় পানি পানি করে মৃত্যুবরণ করবে।
তিনি তার জন্য দোয়া করলেন, হে আল্লাহ! একে তুমি পিপাসার্ত করেই মৃত্যু নিশ্চিত করো।
তিনি বলতে না বলতেই সে ব্যক্তির ঘোড়া তার হাত থেকে ছুটে পালাতে শুরু করল। সেও ঘোড়ার পেছনে ছুটলে এক পর্যায়ে সে পিপাসায় কাতর হয়ে পড়ে যায়। অবশেষে পানি পানি করে মৃত্যুর কোলে ঢলে। পড়ে তার কপালে জুটল না এক ফোঁটা পানিও।
তিনি বলতে না বলতেই সে ব্যক্তির ঘোড়া তার হাত থেকে ছুটে পালাতে শুরু করল। সেও ঘোড়ার পেছনে ছুটলে এক পর্যায়ে সে পিপাসায় কাতর হয়ে পড়ে যায়। অবশেষে পানি পানি করে মৃত্যুর কোলে ঢলে। পড়ে তার কপালে জুটল না এক ফোঁটা পানিও।
ইবনে সা'দ বাহিনীর সামনে উপস্থাপিত বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, আমি সেই ব্যক্তিত্ব যাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাঁধের উপর তুলে নিতেন । একথা শুনে এক বদমেজাজ শত্রু বলে উঠলো, তোমার সাথে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কি সম্পর্ক? তার প্রতিটি শব্দ হযরত হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর কাছে স্বভাবতই এক একটি বুলেটের মত মনে হলো। তিনি তার জন্য বদদোয়া করে বললেন, হে আল্লাহ! এ নির্লজ্জ কে তাথক্ষণিকভাবে অত্যন্ত অপমানজনক অবস্থায় মৃত্যু দিন।
হযরত হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এই প্রার্থনা করতে না করতেই তার বাথরুমে যাবার প্রয়োজন হল। ঘোড়া থেকে নেমে এক জায়গায় মলত্যাগের জন্য বসলো। তৎক্ষণাৎ কোথা থেকে এক কালো বিচ্ছু দংশন করল। সকল সৈন্যের সামনে কাতরাতে কাতরাতে ওই নাপাক অবস্থায় সে মারা যায়।
হযরত হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর এতগুলো কারামত দেখেও নিষ্ঠুর কূফাবাসী_ কোন শিক্ষা গ্রহণ করতে পারলো না।
No comments